পাইলস কি পাইলস হওয়ার কারন ও প্রতিরোধের উপায়
অনেকেই ডাক্তারের কাছে এসে বলে আমার পাইলস হয়েছে । কারণ পাইলস এই শব্দটির সাথে মানুষ খুব পরিচিত অনেকে জিজ্ঞাসা করে পাইলস আর হেমোরয়েডস একই জিনিস কি না। হা পাইলস আর হেমোরয়েডস একই জিনিস। কিন্তু এই হেমোরয়েডস হলো চিকিৎসা শাস্ত্রের নাম, এই হেমোরয়েডস ডাক্তাররা ব্যবহার করে থাকে । আসুন জেনে নেই পাইলস কি পাইলস হওয়ার কারণ কি এবং পাইলস কত প্রকার ও কি কি।
হেমোরয়েডস আর কিছুই না সেটা হচ্ছে এনাল কোষন বলে থাকেন ডাক্তাররা । এই এনাল কোষন গুলো আল্লাহ তা'আলা আমাদের সকলকে দিয়েছেন। এই এনাল কোষন গুলো আমাদের খুব উপকারী এই এনাল কোষন গুলো না থাকতো বা পাইলস গুলো না থাকতো তাহলে রাস্তাঘাটে গেলে আমরা বাথরুম কন্ট্রোল করতে পারতাম না।
কাজে এটা উপকারী জিনিস তাহলে আসি এটাকে রোগ বলা হয় কেন এই এনাল কৌশন গুলো যখন অনেক বেশি বড় হয়ে যায় বা ঝুলে যায় বা রক্তপাত হয় তখন এটা রোগ বলে চিহ্নিত হয় ।
ভূমিকা
বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষ পাইলস কি পাইলস হওয়ার কারণ কি জানেনা । বর্তমানে পাইলস বেশিরভাগ মানুষের হয়ে থাকে। আমরা যদি একটু সচেতন থাকি তাহলে পাইলস থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। যেমন কোষ্ঠকাঠিন্য হলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া ,টয়লেটে বেশিক্ষণ বসে না থাকা , নিয়মিত ব্যায়াম করা, ধূমপান থেকে বিরত থাকা ,চর্বি জাতীয় খাবার থেকে বিরত থাকা, ইত্যাদি এগুলো পরিহার করলে পাইলস থেকে বাঁচা সম্ভব।
- পাইলস কি পাইলস হওয়ার কারণ
- পাইলস কত প্রকার ও কি কি
- পাইলস প্রতিরোধকারী ঘরোয়া খাবার
- পাইলসের চিকিৎসা পদ্ধতি
পাইলস কি পাইলস হওয়ার কারণ
পাইলস কি পাইলস হওয়ার কারণ গুলো নিচে আলোচনা করা হলো।
পাইলস বা হিমালয়েডস কি: পাইলস বা হেমারয়েডস হল মলাশয়ের নিচের অংশ বা মলদ্বারের শিরাগুলো ঝুলে যাওয়া বা ফুলে যাওয়া বা মলদ্বারে রক্তক্ষরণ হলে তাহাকে পাইলস বা হিমালয়েডস বলে। পাইলস দুই ধরনের হয়ে থাকে। অভ্যন্তরীণ, বাহ্যিক
পাইলস হওয়ার কারণ
পাইলস হওয়ার পিছনে যেসব কারণগুলো রয়েছে সেগুলো হলো :
১। কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া
২। টয়লেটে বেশি সময় বসে থাকা
৩। বেশি সময় একই স্থানে বসে থাকা
৪। পেটের ভিতরে চাপ বৃদ্ধি
৫। জন্মগত
৬। ব্যায়াম না করা
কোলনের শিরায় চাপ পড়ে বলে সেরা গুলোতে রক্ত চলাচল ব্যাহত হওয়ার ফলে পাইলস হয়
ইত্যাদি
পাইলস কত প্রকার ও কি কি
এখন আমরা জানবো পাইলস কত প্রকার ও কি কি। চিকিৎসাশাস্ত্রে পাইলস কে ৪ ভাগে ভাগ করা যায় এটা হচ্ছে ক্লিনিক্যালি বা ডিগ্রী ধরে
১।শুধু রক্ত যায় কিন্তু বেরিয়ে আসে না ।
২।মাঝে মাঝে রক্ত যাই কিছু বেরিয়ে আসে আবার বাথরুমের সাথে অটোমেটিক কেলিভ অয়েল চলে যায়
৩।বাথরুমের দারে কিছু একটা বেরিয়ে আসে কিন্তু হাত দিয়ে ভেতরে ঢুকিয়ে দিতে হয় , না হলে যায় না
৪।বাথরুমের দ্বারে কিছু একটা আছে এটা আর ভেতরে যায় না।
তাহলে আমরা জানলাম পাইলস কত প্রকার ও কি কি। এখন আমরা পাইলস প্রতিরোধকারী ঘরোয়া খাওয়ার সম্পর্কে জানবো।
পাইলস প্রতিরোধকারী ঘরোয়া খাবার
ঘরোয়া উপায়ে পাইলস রোগী ছাড়াও সকল সুস্থ্য মানুষকে সচেতন করার লক্ষ্যে এই খাবারগুলো লাইফ স্টাইল হিসেবে সবাইকে খাওয়া উচিত । পাইলস প্রতিরোধকারী ঘরোযা খাবার গুলো হলো। যেমন,
১। আশ যুক্ত খাবার
২। সবুজ শাকসবজি
৩।মৌসুমী ফলমূল
৪। লাল আটার রুটি
৫। ঢেঁকি ছাঁটা চাল ইত্যাদি
পাইলসের চিকিৎসা পদ্ধতি
১।যদি আপনি প্রথম ধাপের রোগী হয়ে থাকেন তাহলে ঔষধ ছাড়াও ভালো হতে পারেন মাত্র ডাক্তারের দেওয়া লাইফ স্টাইল গুলো মেনে চললেই পাইলস ভালো হয়। লাইভ স্টাইল বলতে আপনার জীবনের কিছু নিয়ম কানুন পরিবর্তন করা কে বোঝায়। যেমন
- পায়ুপথের পরিছন্নতা বজায় রাখুন
- উষ্ণ গরম পানিতে দিনে কয়েকবার ভিজিয়ে নিন
- ফুলে গেলে বরফ দেওয়া
- প্রদাহ বা সংক্রমণের দ্রুত চিকিৎসা নিন বেশি করে পানি পান করুন
- মাংস, কম আস ও বেশি চর্বিযুক্ত খাবার, কড়া মসলা ফাস্ট ফুড খাবার, ইত্যাদি পরিহার করুন
২।আপনি যদি দ্বিতীয় ধাপের রোগী হয়ে থাকেন তাহলে ডাক্তার আপনাদের চিকিৎসা দিয়ে থাকবে
৩।আপনি যদি তৃতীয় ধাপের রোগী হয়ে থাকেন তাহলে অপারেশনে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে ।তৃতীয ধাপের রুগিদের ওষধ দিয়ে ভাল করা সম্ভব না হলে অপারেশন করতে হয় ।
৪।আপনি যদি চতুর্থ ধাপের রোগী হয়ে থাকেন তাহলে অপারেশনের মাধ্যমে পাইলস ভালো করা সম্ভব
শেষ কথা
কাজেই পাইলস হলেই আপনাকে অপারেশন করতে হবে কথাটি সত্য না।আমরা যদি পাইলসের চিকিৎসা পদ্ধতি গুলো মেনে চলি তাহলে ৭০% রোগীকে ঔষধ দিয়ে সুস্থ করা সম্ভব কিন্তু আপনাকে সচেতন থাকতে হবে। কারণ ধাপ হিসেবে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে তাহলে অপারেশন ছাড়াই ঔষধের মাধ্যমে পাইলস ভাল করা সম্ভব।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url