ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা-ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ
ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানবো। প্রিয় পাঠক আপনি রূপকথার ড্রাগন শব্দটির সাথে অনেক আগে থেকে পরিচিত। কিন্তু বর্তমানে ড্রাগন শব্দটির সাথে ফল যোগ করে ড্রাগন ফল বলে বর্তমানে আমরা পরিচিত হয়েছি। ড্রাগন ফল সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত জানবো। ড্রাগন হলো একটি ক্যাকটাস জাতীয় ফল।
ড্রাগন ফলকে উদ্ভিদতাত্ত্বিক গণ নাম দিয়েছিল হায়লোসেরিয়াস আনডেটাস।আমেরিকাতে সর্বপ্রথম ড্রগন ফলটির উৎপত্তি হয়,থাইল্যান্ড , ভিয়েতনাম থেকে চারা সংগ্রহ করে বাংলাদেশে চাষ শুরু করা হয়। ড্রাগন গাছটি ডোরাকাটা পাতা বিহিন গাছ। গাছটি ১.৫-২.৫মিটার লম্বা হয়
ভূমিকা
ড্রাগন ফলটি বর্তমানে আমাদের দেশে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ড্রাগন ফলটি এর দাম তুলনামূলক একটু বেশি। কিন্তু দাম বেশি হলেও ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ উপাদান রয়েছে । ড্রাগন ফলে ভিটামিন এ, ক্যালরি কম থাকায় ড্রাগন ফলটি খেলে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা থাকে না। এতে প্রচুর ক্যালসিয়াম ওমেগা ফেটি অ্যাসিড এর মত এন্টিঅক্সিডেন্ট আছে যা আমাদের শরীরের জন্য খুব উপকারী।
আরো পড়ুন: গাজরের উপকারিতা ও অপকারিতা
বর্তমানে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী আছে যারা রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করে ড্রাগন ফলটির ওজন এক কেজি থেকে এক কেজি ২০০ গ্রাম পর্যন্ত তৈরি করছে যা আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর তাই ড্রাগন ফলটি খেতে হলে নিচের ছবিগুলো দেখে আসল ড্রাগন ফলটি ক্রয় করে খাবেন।
- ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা
- ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ
- ড্রাগন ফলের প্রজাতি
- বিভিন্ন দেশে ড্রাগন ফলের নাম
- ড্রাগন ফল বাচ্চাদের কেন খাওয়াবেন
- কত বছর বয়স থেকে বাচ্চাদের ড্রাগন ফল খাওয়ানো যাবে
এই ফলটি আসল
আর যে ফলটিতে রসায়নিক উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে। সেই ফলটি ৯০০গ্রাম থেকে ১কেজির বেশি ওজন হয়।
ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ
প্রতি ১০০ গ্রাম ড্রাগন ফলে পুষ্টি উপাদান আছে
সুগার ০.০৯ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট ০. ১৫ গ্রাম, ফাইবার ০.৭ গ্রাম. পানি, ওমেগা3, ওমেগা 9, ফ্যাটো অ্যাসিড, প্রোটিন ০.৫-০.১৫ গ্রাম, আশ ০.৩৩-০.৯১গ্রাম,খাদ্যশক্তি ৩৪-৫০ কিলোক্যালরি,শর্করা ৯-১০ গ্রাম,চর্বি ০.৫-০.৯ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৬-১০ মি: গ্রাম, আয়রন ০.৪-০.৭মি: গ্রাম,ভিটামিন বি ০.২-০.৪ গ্রাম, আরো আছে ভিটামিন সি, ফসফরাস, বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন এ এবং রিবোফ্লোরিন সামান্য পরিমাণে থাকে।
বিভিন্ন দেশে ড্রাগন ফলের নাম
বিভিন্ন দেশে ড্রাগন ফলের নাম। আসুন কয়েকটি দেশে কি নামে এই ড্রাগন ফলটি পরিচিত আমরা জেনে নেই।
চীন :চিনে ড্রাগন ফলটিকে ফাইবার ড্রাগন ফ্রুট এবং ড্রাগন পার্ল ফ্রুট বলে।
থাইল্যান্ড : থাইল্যান্ডে ড্রাগন ফলকে ড্রাগন প্রিচটাল বলে।
ভিয়েতনাম : ভিয়েতনামে ড্রাগন ফলকে সুইটস ড্রাগন বলে।
ইন্দোনেশিয়া : ইন্দোনেশিয়ায় ড্রাগন ফলকে স্পটিক নামে চেনে।
মালয়েশিয়া : মালয়েশিয়া ড্রাগন ফলকে ড্রাগন ফ্রুট নামে পরিচিত।
বাংলাদেশে : বাংলাদেশে ড্রাগন ফল নামে পরিচিত ।
এবং অন্যান্য দেশে এই ড্রাগন ফলটি স্ট্রবেরি নাশপাতি নামে পরিচিত।
ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা
প্রথমে আমরা ড্রাগন ফলের উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করবো।
ড্রাগন ফলের উপকারিতা
- হজম শক্তি বৃদ্ধিতে ড্রাগন ফল
- ক্যান্সার প্রতিরোধে ড্রাগন ফল
- চুল পড়া রোধে ড্রাগন ফল
- কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে
- হাঁপানি নিয়ন্ত্রণের ড্রাগণ ফল
- ওজন নিয়ন্ত্রণের ড্রাগন ফল
- দীর্ঘস্থায় রোগের বিরুদ্ধে লড়াই
- আয়রনের ঘাটতি পূরণ করে
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
- প্রচুর ডাইটারি ফাইবার থাকে
- ব্রণ দূর করতে সহায়তা করে
- অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ফল ড্রাগন
হজম শক্তি বৃদ্ধি করে
আপনি কি হজম সমস্যায় ভুগছেন, আপনি কিছু খেলে সহজে হজম হতে চাই না পেটে ব্যথা করে। তাহলে আপনি ড্রাগন ফলটি খেতে পারেন। কারণ ড্রাগন ফলে ফাইবার আছে। আর ফাইবার থাকার কারণে হজম শক্তি বৃদ্ধি করে। ড্রাগন ফল খেলে আপনার শরীররে থাকা উপকারের ব্যাকটেরিয়া গুলো কে স্বাবলম্বী করে তোলে।
এই কারণে হজম শক্তির বৃদ্ধি পায়। তাই নিয়মিত ড্রাগন ফল খেলে আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।
ক্যান্সার প্রতিরোধের ড্রাগন ফল
বর্তমানে এই প্রাণঘাতী রোগ ক্যান্সার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই ক্যান্সার রোগ থেকে বাঁচতে হলে আমাদের আগে থেকে সচেতন হতে হবে।
এবং যারা ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়েছেন তারা ড্রাগন ফলটি খেতে পারেন কারণ ড্রাগন ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ক্যালসিয়াম ফসফরাস ও ভিটামিন বি এসব উপাদান গুলো থাকার কারণে শরীরের ক্ষতিকর টক্সিন পদার্থগুলো মেরে ফেলতে সাহায্য করে।
চুল পড়া রোধ করে
ড্রাগন ফলে আয়রন থাকার কারণে চুল পড়া রোধ করে। কারণ আয়রন এর অভাবে চুল ঝরে পড়ে। তাই ড্রাগন ফল খেলে চুল ঝরে পড়া রোধ করে এবং আমাদের চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। তাই নিয়মিত ড্রাগন ফল খেলে চুলের অনেক উপকার হয়।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
আপনার কি কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা আছে তাহলে আপনি ড্রাগন ফল খেতে পারেন । কারণ ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে পানি, ও ফাইবার থাকায় কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং হাইড্রেট রাখতে সহায়তা করে।
ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণ করে
যে সমস্ত রোগীরা ডায়াবেটিস রোগের ঝুঁকিতে আছেন তাদের বিভিন্ন নিয়ম মেনে চলতে হয়। যেমন ব্যায়াম , ইনসুলিন, সময় মতো ওষুধ খাওয়া ইত্যাদি এবং যারা ডায়াবেটিসের বর্ডার লাইনে আছেন তাদের জন্য ড্রাগন ফল খুব উপকারী। আপনারা নিয়মিত ড্রাগন ফল খেলে ডায়াবেটিক্স নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করবে। ডায়াবেটিস রোগীর রক্তের সুগারের পরিমাণ বেশি থাকে।
ডায়াবেটিস রোগী রক্তের সুগারের পরিমাণ সব সময় কমিয়ে রাখতে হয় বা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়। ড্রাগন ফলে ভিটামিন ও খনিজ উপাদান থাকে যা রক্তের সুগারকে নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে এবং শরীরে ইনসুলিন বাড়াতে সাহায্য করে।
হাঁপানি নিয়ন্ত্রণের ড্রাগন ফল
যাদের সর্দি, কাশি, হাঁপানি ইত্যাদি রোগে ভুগছেন তাদের জন্য ড্রাগন ফল খুব উপকারী। কারণ ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন উপাদান রয়েছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে
ওজন নিয়ন্ত্রণে ডায়াবেটিকস
আমাদের হাইটের তুলনায় শরীরের ওজন বেশি হলে আমরা বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হই । যেমন, ডায়াবেটিস, হার্টের সমস্যা, ব্লাড প্রেসার ইত্যাদি । আমাদের শরীরের ওজন কমাতে চাইলে নিয়মিত ড্রাগন ফল খেতে পারেন । কারণ ড্রাগন হলে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে। ড্রাগন ফল নিয়মিত খেলে আমাদের শরীরে অতিরিক্ত ক্যালোরি জমবে না এবং দ্রুত ওজন নিয়ন্ত্রণ আনতে সাহায্য করবে।
দীর্ঘস্থায়ী রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে
আমরা জানি মানব দেহ অনেকগুলো সেলের মাধ্যমে গঠিত। যেটা পলিউশন ও পরিবেশ দূষণের কারণে আমাদের শরীরে প্রচুর পরিমাণ ফ্রী রেডিকেলস জন্ম নেয়। এই ফ্রি রেডিকেলস গুলো আমাদের শরীরের সেলগুলো কে নষ্ট করে ফেলে। এর কারণে আমাদের শরীরে ক্যান্সার সহ আরো অনেক কঠিন রোগ বাসা বাঁধে। আর এই কঠিন রোগ গুলোকে ধ্বংস করতে হলে এন্টিঅক্সিডেন্টের প্রয়োজন হয়।
এই আন্টি অক্সিডেন্ট গুলো হল ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, এবং ভিটামিন ই ইত্যাদি উপাদানগুলো ড্রাগন ফলের মধ্যে আছে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে ১ লক্ষ ৩০ হাজার মানুষকে প্রতিদিন ভিটামিন সি খাওয়ানো হতো। পরে সেই মানুষগুলোর শরীর পরীক্ষা করে দেখা গেছে তাদের শরীরে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে গেছে।
এছাড়া ড্রাগন ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমানে বিটা ক্যারোটিন। এই বিটা ক্যারোটিন। আমাদের শরীরে গিয়ে ভিটামিন এ ,তে রূপান্তরিত হয়। ফলে দেখা গেছে যারা নিয়মিত ড্রাগন ফল খান তাদের শরীরে দীর্ঘস্থায়ী রোগে গুলো বাসা বাঁধতে পারে না।
আয়রন এর ঘাটতি পূরণ করে
ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে আয়রন আছে। আর আমরা যদি নিয়মিত ড্রাগন ফল খায় তাহলে আমাদের শরীরে আয়নের ঘাটতি পূরণ করে। ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন এর তথ্য মতে পৃথিবীর প্রায় 30% মানুষ আয়রনের ঘাটতিতে ভুগছে। যেহেতু ড্রাগন ফলে ভিটামিন সি আছে এবং আয়রন আছে।
সেহেতু আমাদের শরীরে আয়রন রক্তে সঠিকভাবে কাজ করার জন্য ভিটামিন সি এর সাহায্য প্রয়োজন সুতরাং ড্রাগন ফলে এই দুইটি উপাদান আছে। আপনারা যদি ড্রাগন ফল খান তাহলে একসাথে দুইটি উপকার পাবেন। আয়রনের ঘাটতি পূরণ হবে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
ড্রাগন ফল আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। আমাদের শরীরে যে শ্বেত রক্তকণিকা আছে। সেগুলো যদি সঠিকভাবে আমাদের শরীরে কাজ না করে, তাহলে বুঝবেন আমাদের ইমিউন সিস্টেম ঠিকমতো কাজ করছে না। আর এটি কিভাবে বুঝবেন দেখবেন আপনি অল্প কিছুতে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন আপনার বাড়ির সকল সদস্য একই খাবার খাচ্ছে এই খাবার খেয়ে সকলে সুস্থ আছে।
কিন্তু আপনি মাঝে মাঝে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তাহলে বুঝবেন আপনার ইমিউন সিস্টেম ঠিকমতো কাজ করছে না ড্রাগন বলে ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ই থাকে এরা এন্টিঅক্সিডেন্ট এর মাধ্যমে ফ্রি ডিফারেন্সগুলো কে ধ্বংস করে দেয় এবং শ্বেত রক্তকণিকা গুলোকে সুস্থ রাখে এবং আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
প্রচুর ডাইটারি ফাইবার থাকে
ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে ডাইটারি ফাইবার থাকে। যার কারণে আমাদের শরীরে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
ব্রণ দূর করতে সহায়তা করে
ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ উপাদান রয়েছে । ভিটামিন সি এর অভাবে মুখে ব্রণ সমস্যা দেখা দেয়। আর ড্রাগন ফলে ভিটামিন সি রয়েছে নিয়মিত ড্রাগন ফল খান তাহলে আপনার মুখের ব্রণ সমস্যা দূর হবে এবং ত্বক হবে উজ্জ্বল ও লাবণ্যময়।
হাইড্রেশন সাহায্য করে
আপনার শরীরে পানি ঘাটতি আছে তাহলে আপনার ড্রাগন ফল খেতে পারেন । কারণ ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমানে পানি রয়েছে তাই ড্রাগন ফল খেলে হাইড্রেশনে সাহায্য করে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ফল ড্রাগন
ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ উপাদান রয়েছে। ড্রাগন ফলে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, আয়রন ইত্যাদি এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ একটি ফল যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। আমাদের হাড় মজবুত করতে সহায়তা করে দীর্ঘস্থায়ী রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে।
ড্রাগন ফলের অউপকারিতা
ড্রাগন ফলে কয়েকটি অউপকারিতা রয়েছে আসুন জেনে নেই।
এলার্জি সমস্যা
সব ধরনের ফলের মাঝে এলার্জি সমস্যা থাকতে পারে। কিন্তু সবার জন্য সেই ফলগুলো ক্ষতিকার নয় । কিছু মানুষ আছে যাদের শরীরে এলার্জি আছে তাদের সমস্যা হয়, তবে যাদের এলার্জি সমস্যা আছে তারা ড্রাগন ফলটি সাবধানে খাবেন প্রথমে ড্রাগন ফলটি অল্প পরিমাণে খাবেন। যদি দেখেন আপনার শরীরে এলার্জি সিনড্রোম দেখা দিচ্ছে তাহলে ড্রাগন ফল খাওয়া বন্ধ করে দিবেন
ডায়রিয়া সমস্যা
ড্রাগণ হলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার আছে এই ফাইবার থাকার কারণে আমাদের শরীরে হজম শক্তি বৃদ্ধি করে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে । এর ফলে ডায়রিয়া সমস্যা হতে পারে। অতিরিক্ত ড্রাগন ফল খেলে ডায়রিয়া সমস্যা হতে পারে।
কিডনিতে পাথর
যাদের কিডনিতে পাথর আছে তারা অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ড্রাগন ফল খাবেন। কারণ ড্রাগন ফলে অগজালেট নামক একটি উপাদান থাকে।এই অগজালেট উপাদানটি আমাদের শরীরে ক্যালসিয়াম ও আয়রন থাকার কারণে রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে কিডনি স্টোন হতে পারে।
ড্রাগন ফল বাচ্চাদের কেন খাওয়াবেন
ড্রাগন ফলে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন সি, ভিটামিন এ , ও এন্টিঅক্সিডেন্ট। আমরা জানি বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। এই ফলে ভিটামিন সি থাকার কারণে বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। আসুন জেনে নেই ড্রাগন ফল খেলে বাচ্চাদের কি উপকারে আসে, এবং কেন বাচ্চাদের ড্রাগন ফল খাওয়াবেন।
- ড্রাগন ফল খেলে বাচ্চাদের হার্ট গুলো থাকে
- বাচ্চাদের হাড় গঠনে সহায়তা করে
- ড্রাগন ফলে আঁশ থাকার কারণে বাচ্চাদের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
- ভিটামিন এ বাচ্চাদের চোখ ও ত্বকের জন্য খুব উপকারী
- ড্রাগন ফলে রয়েছে প্রচুর আয়রন মজা বাচ্চাদের রক্তস্বল্পতা দূর করে
বি:দ্র: ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে এন্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে। তাই বাচ্চাদের বেশি পরিমাণে খাওয়াবেন না, বেশি খাওয়ানোর ফলে বাচ্চার ডায়রিয়া হতে পারে।
কত বছর বয়স থেকে বাচ্চাদের ড্রাগন ফল খাওয়ানো যাবে
ড্রাগন ফলটি বাচ্চাদের ৯ মাস থেকে ১ বছর পর থেকে খাওয়াতে পারেন। ড্রাগন ফলের রিসেন্ট অক্সিডেন্ট, ফাইবার, ও মিনারেলস থাকে। আপনার বাচ্চা যদি এই ফলটি পছন্দ করে তাহলে সপ্তাহে ১-২ দিন ৫০-১০০ গ্রাম খাওয়াতে পারেন।
মন্তব্য
ড্রাগন ফলটি বর্তমানে আমাদের দেশে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ড্রাগন ফলটি খেতে হালকা মিষ্টি ও রসালো। ড্রাগন ফলে কিছু সমস্যা থাকলেও এর উপকারিতা অনেক। ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে যা আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। সুতরা ড্রাগন ফলটি আমাদের খাবার তালিকায় রাখতে পারি।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url